শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
টেন্ডার ছাড়াই তালাইমারী বালুঘাট চালু রাখতে মরিয়া আজিজুল আলম বেন্টু

টেন্ডার ছাড়াই তালাইমারী বালুঘাট চালু রাখতে মরিয়া আজিজুল আলম বেন্টু

নিজস্ব প্রতিবেদক: “রাজশাহীতে বালুমহাল নিয়ে চক্রান্তে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ” শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশ করেছে তা মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট বলে দাবি করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোঃ আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল পদ্মা টাইমস্-এ কুরুচি পূর্ণ ও মনগড়া বক্তব্য লিখে আমার মান ক্ষুন্ন করাসহ সমাজের নিকট তথা নগরবাসীর নিকট আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মেসার্স আমিন ট্রেডার্স, মহানগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও পদ্মা টাইমস্-এর মালিক মোঃ আজিজুল আলম বেন্টুকে মহান ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। কথায় আছে, নিজের দই কেই টক বলে না। তা পদ্মা টাইমস্-এর মালিকের নিয়োগকৃত সাংবাদিক তার লিখুনিতে আবারও প্রমান করলেন।

দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী বাংলা মাসের ১লা বৈশাখ থেকে বালু উত্তোলন করছেন ১১টি বালুমহাল ইজারাদার।স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন চরশ্যামপুর ও চরখিদিরপুর বালুমহালটি বন্ধের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন কথাটা ঠিক নয়, বরং এহেন সংবাদ মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বেয়াদবির শামিল ।

তিনি বলেন, শ্যামপুর দিয়ে বালু তুললেই তো সকল কাহিনীর অবসান ঘটে। তা তো করা হচ্ছেনা। বরং অবৈধভাবে তালাইমারী বালু ঘাট চালু করে আমাকেসহ সকল ব্যবসায়ীদের নিঃস্ব করার যড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।

অভিযোগ করে আনোয়ার বলেন, নদীর ব্লক থেকে ১ কিলোমিটার দুরে বালু উত্তলোন করার নিয়ম থাকলেও শুরুতে ভেকু দিয়ে হাজার হাজার ট্রাক, ডাম্প ট্রাক বালু উত্তোলন করা হয়েছে ব্লকের ২০গজের মধ্যে। এটা কি আইনপরিপন্থি নয় ? সরকারী সম্পদ লুটপাট নয় ? সরকারী রাজস্ব ক্ষতি সাধন নয় ? 

তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস নগরীর সচেতন মহল ও বালু মহলের সকলেই অবগত। বর্তমানে যে ঘাটগুলি কোটি টাকায় টেন্ডার হয়েছে তা একমাত্র আমার ও আমার ব্যবসায়ী পার্টনারদের তৎপরতায় বালু মহল সিন্ডিকেট মুক্ত হয়েছে। লাখ টাকা বালু মহল বিক্রি হয়েছে কোটি টাকায়। সরকারের ঘরে রাজস্ব যুক্ত হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। তাহলে কি দেশের কাজ হয়নি ?

তিনি আরো বলেন, যে কসবা বালুঘাট ৫ কোটি টাকা মূল্যে টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়েছি। সেই কসবা বালুঘাটটি গত বছর নেতা মোঃ আজিজুল আলম বেন্টু নিয়েছিলেন মাত্র ৫ লক্ষ টাকায়।

বর্তমানে রাজশাহীর চরশ্যামপুর ও চরখিদিরপুর মৌজার ১২০ একরের বালুমহাল দরপত্রে প্রতিযোগিতায় দুই কোটি দুই লাখ টাকায় ইজারা পেয়েছেন নেতা আজিজুল আলম বেন্টু। সেটি গত বছর মাত্র ৭লক্ষ টাকায় নিয়েছিলেন তিনি। কোথায় ৭ লক্ষ আর কোথায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা।

চড়া মূল্যে এই ঘাটটি নেয়ার কারন হলো, প্রতিযোগী ছিলাম আমি কাটাখালী পৌর মেয়র মোঃ আব্বাস আলী ও সহযোগী ব্যবসায়ী পার্টনারগণ। মানুষ আর বোকা নেই। সকল শ্রেনী পেশার মানুষ এখন যথেষ্ট সচেতন। অতিতে কি পরিমান সরকারী রাজস্ব লোপাট হয়েছে তা জনগণ জেনে গেছে। বর্তমানে হাটে, ঘাটে, চায়ের স্টলে, নগরীজুড়ে জনগনের মুখে মুখে তালাইমারী বালু ঘাটই আলোচনার একমাত্র কেন্দ্র বিন্দু বলেও উল্লেখ করেন সেচ্ছা সেবকলীগ সহ-সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন।

তালাইমারী বালু ঘাটে যে শতাধিক ব্যবসায়ী ব্যবসা করে খাচ্ছে এই কথাটিও সত্য নহে। প্রকৃত ঘটনা হলো: এই ঘাটে প্রভাবশালী নেতার ব্যবসা একক। যারা মুনাফার আশায় আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে ১পাই শেয়ার কিনেছিলেন তারা এখন টাকা ফেরত চাইছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঈদের আগের রাতে (চাঁদরাতে) ৪জন শেয়ারদার বলেন, আমরা শেয়ারের টাকা নেতার কাছে ফেরত চেয়েছি। কারন হিসেবে তারা বলেন, নেতা আমাদের নিজের মনগড়া মতো ৩৩ হাজার ৫’শত করে পাই প্রতি টাকা দিয়েছেন। আমাদের হিসেব দেখার ও কথা বলার সুযোগ নাই।

তারা আরো বলেন, হিসেব মতে একেকজন শেয়ারদার লক্ষাধিক টাকা ভাগ পাবে। হিসেব চাইলে নেতা সাফ জানিয়েছেন আমি কাউকে হিসেব দিয়ে ব্যবসা করিনা।

বুুলনপুর এলাকার স্থানীয় একজন মুরিব্বি বলেন, আনোয়ার হোসেনের বিষয়ে না বললেই নয়। সে একজন নিয়মিত নামাজি, সৎ, ভদ্র, বিনয়ী ও সমাজসেবক। তার নিজ এলাকায় তার বিরুদ্ধে খারাপ কোন প্রচার বা অপপ্রচার নাই। তিনি মানুষকে দ্বিনের দাওয়াত দেন এবং এলাকার মানুষকে নামাজ পড়তে, মসজিদে যেতে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। বুলনপুর ঈদগাহ্ সংলগ্ন অবস্থিত নিজ খরচে একটি খানকা শরিফ পরিচালনা করেন তিনি। যেখানে নিয়মিত ধর্মিয় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এবং মুসল্লীদের মাঝে তবারক বিলি করা হয়।

আরেকজন স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, মোঃ আনোয়ার হোসেন কখনো কাউকে হুকুম দিয়ে আঘাত, খুন খারাবি করাননি বা পছন্দও করেননা। তাছাড়া সে কোন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বা তার বিরুদ্ধে এরুপ কোন মামলাও নাই। তার লক্ষ্য সৎভাবে ব্যবসা করা ও পার্টনাদের মাঝে সুষ্ঠু ভাবে বন্টন করা। তারপরও বিকৃতী মানুষিকতার জায়গা থেকে তাকে লোভী বলে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে এটা আইন বিরোধি তথা মানহানিকর। আনোয়ার হোসেনের আদালতের দারস্ত হওয়া উচিত বলেও জানান তিনি।

আনোয়ার বলেন, আমি যদি হাটে হাড়ি ভাংগি তাহলেই রাজশাহী নগরীর মানুষ জেনে যাবে আসলে লোভী কে ?

এবার মূল ঘটনায় আসি : আগেই বলেছি কসবা বালুঘাট গত বছর নেতা আজিজুল আলম বেন্টু নিয়েছিলেন ৫ লক্ষ টাকায়। এবার সে ঘাটটি আনোয়ার হোসেন নিয়েছেন ৫ কোটি টাকায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন অবৈধ ঘাট তালাইমারী ফাও ফাও বনাস হিসেবে আয় করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আনোয়ার ও তার ব্যবসায়ীক পার্টনাররাসহ অন্যান্য ঘাট মালিকরা। কত টাকায় ৫ কোটি টাকা হয় হিসেব করেছেন ? অতএব মাথা ব্যথা তো থাকবেই।

আনোয়ার তালাইমারী বালু ঘাটটি বন্ধের পক্ষে কেন ? রাজশাহী শহরের মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো ও লাবজনক বিট্রিশ আমলের ঘাট, তালামারী বালু ঘাট। শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত এ ঘাটটি লবজনক হওয়ার কারনেই বিগত দিনের সিন্ডিকেটদের তৎপরতায় বালু ঘাটটি বন্ধ ছিল। যদিও শোনা যায় রাসিকের হস্তক্ষেপে ঘাটটি বন্ধ করা হয়েছিল। যাইহোক সুবিধাজনক স্থানে ঘাটটি হওয়ায় এখানে থেকে বালু কিনলে অল্প ভাড়ায় খদ্দেররা নিজ গন্তব্যে বালু নিয়ে যেতে পারে। এতে রাজশাহীর সকল বালু ঘাটের চেয়ে ট্রাক প্রতি ৫০০/১০০০ টাকা সাশ্রয়ী হয় ক্রেতাদের। আর তাই তালাইমারী ঘাট চালু থাকলে রাজশাহীর সকল বালু ঘাটের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

বিভিন্ন কারন দেখিয়ে গত প্রায় ১০ বছর যাবত তালাইমারী বালু ঘাট বন্ধ রাখা হয়। হটাৎ ঘাটটি রহস্যজনক ভাবে টেন্ডার ছাড়া চালু হলো। ঘাটটি টেন্ডারের মাধ্যমে চালু হলে রাজশাহীর সকল বালু ঘাটের চেয়ে এ ঘাটটির মূল্য বেশি হতো। অনেক বালু ব্যবসায়ীর মুখে শোনা যায় ৭/৮ কোটি টাকা মূল্যে দিয়ে ব্যবসায়ীরা ঘাটটি লুফে নিতে পিছ পা হতোনা। তাহলে কি সরকার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে না ?

এই বালুমহালের আজিজুল আলম বেন্টুর কেয়ারটেকার সেলিম হোসেন বলেছেন কয়েকশ’ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার এই বক্তব্য চাটুকারিতার সামিল। কয়েকশ’ নয় কয়েকজন। আর ব্যবসা শুধু নেতার। না বুঝে যারা শেয়ার নিয়েছেন, তারা রাস্তা ঘাটে বলছেন, আমাদের কোন লাব নাই। সব লাব নেতার। এবং বেশিরভাগই শেয়ারদার টাকা ফেরত চেয়েছেন।

বিগত দিনে তালাইমারী ঘাটে ৬টি কোম্পানী ছিল এবং ১০০জন তালিকাভূক্ত বালু ব্যবসায়ী রয়েছে ঘাটটিতে। বর্তমানে অধিকাংশরাই বেকার এবং বিভিন্ন কর্মে জড়িয়েছেন। তারা আশায় বুক বেঁধেছিল তালাইমারী বালুঘাটটি চালু হলে আবার তারা তাদের পুরোনো পেশা বালু ব্যবসা শুরু করবেন। টেন্ডারে প্রাপ্ত ঘাট মালিক ইজারা আদায় করবেন, আর ব্যবসায়ীরা বালু তুলে ব্যবসা করবেন। কিন্তু তারা যখন দেখলেন বাস্তব চিত্র ভিন্ন, যিনি ইজারাদার তিনিই বালু ব্যবসায়ী। আর এই চিত্র দেখে কোনঠাসা হয়ে জিবিকার তাগিদে আবারও তারা যে যার কর্মে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন সেখানেই ফিরে গেছেন। মিথ্যা ভাবে প্রচার করা হচ্ছে এ এলাকার শতাধিক ব্যবসায়ী বালু ব্যবসায় জড়িত। বাস্তবতা হলো টেন্ডার ছাড়া চালু হওয়া ঘাটটিতে পুরোনো ব্যবসায়ীদের কোন অস্তিত্ব নাই।

ঘাটটি চালু করার প্রধান কারন হলো : অল্প সময়ে নিজের বিনিয়োগের টাকা উত্তেলোন করা। পাশাপাশি যারা সিন্ডিকেট ভেঙ্গে লাখ টাকার ঘাট কোটি টাকায় মূল্যে কিনেছেন কৌশলে তাদের অর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা। যাকে বলে হাতে ঘটি ধরিয়ে দেয়া। মহত্বের যে ধোয়াই তুলুন না কেন, তালাইমারী ঘাট দিয়ে বালু উঠানোটাই অবৈধ। মূল কৌশল হলো প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীদের ঘায়েল করা।

গত বছর শ্যামপুর বালু ঘাট ছিল নেতা আজিজুল আলম বেন্টু’র। সে সময় তালাইমারী বালু ঘাটের একাধিক ব্যবসায়ীরা তাকে অনুরোধ করেও তালাইমারী বালু ঘাট চালু করাতে পারেনি। এবার জনস্বার্থের উপকারের কথা বলে নিজ ক্ষমতায় ঘাটটি চালু করেছেন। পরে সবাই বুঝেছে জনস্বার্থে নয় নিজের স্বার্থে হাসিলের জন্যই তালাইমারী বালু ঘাট চালু করা হয়েছে।

তালাইমারী ঘাটের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, বন্যার সময় চড়া দামে বালু বিক্রির আশায় তালাইমারী-কাজলা এলাকার বালু ব্যবসায়ীদের ৬টি কোম্পানি যৌথ ভাবে প্রায় ১হাজার ট্রাক বালু পালা (স্টক) দেয়। গত বছর ঈদের আগে বন্য মৌসুমে তারা গচ্ছিত বালু গুলি বিক্রির উদ্যোগ নিলে প্রশাসন দিয়ে বাধা দিয়ে বিক্রি করতে দেননি এ নেতা। যা আজ আবদি সেই অবস্থায় রয়েছে।

আমরা কেউ আইনের উর্দ্ধে নই। বালু মহালের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ জেলা প্রশাসক এসএম কাদের বলেন, চরশ্যামপুর বৈধ বালুমহাল। সেখান থেকে ইজারাদার বালু উত্তোলন করতে পারবেন এবং তাদের সুবিধামত স্থান দিয়ে বালু সরবরাহ করবেন।

রাজশাহীতে বৈধভাবে যেসব বালু ঘাট ইজারা দেয়া হয়েছে তার মধ্যে তালাইমারী বালু ঘাট উল্লেখ নেই। কিন্তু মেসার্স আমিন টেডার্সের সত্বাধিকারী আজিজুল আলম (বেণ্টু) বাংলা ১লা বৈশাখ ২০২৬ তারিখ হতে অবৈধভাবে তালাইমারী বালু ঘাটটি দিয়ে বালু উত্তলন শুরু করেন।

এর আগে শিক্ষা নগরীতে পরিবেশ দূষণ রোধে রাসিক এলাকার মধ্যে কোন প্রকার বালু উত্তোলন করা যাবেনা। এমনি দাবিতে নগরীর সাহেববাজারস্থ রাজশাহী প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সামনের রাস্তায়, সচেতন মহাল, পরিবেশ বাদি সংগঠন, সুধি সমাজ ও সাংবাদিকবৃন্দসহ একাধিক সামাজিক সংগঠন মানববন্ধন করেন। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বরক লিপি জমা দেন। কিন্তু ফলাফল শূণ্য, বর্তমানে তালাইমারী, পুরো-কাজলা ও ভদ্রা রোডে ২৪ ঘন্টা বালু বাহি ট্রাক, ডাম্প ট্রাক চলাচলের কারনে বালিতে রাস্তার প্রায় অর্ধেক পিচ-ই ঠেকে গেছে। বাস-ট্রাক গেলেই ধুলা-বালু উঠে মুখ-চোখে পড়ছে।

তালাইমারী বালু ঘাট চালু করায় বিপাকে পড়েছে তিন শ্রেনীর মানুষ,  (১) রাস্তার ধারের বসত বাড়িতে রাস্তার বালু উঠে দামি থাই গ্রিল নষ্ট হচ্ছে (২) রাস্তা সংলগ্ন চায়ের দোকান, হোটেল, রেস্তোরার খাবারে ধুলা পড়ে খাবার নষ্ট হচ্ছে। অশান্তিতে দোকানিরা। আর সাধারন মানুষের কোন উপাই নাই তাই খাচ্ছে। (৩) যাদের এজমা ও শ্বাসকষ্ট রয়েছে। তারা ভয়ে বালুবাহি ট্রাক চলাচলের বাস্তা এড়িয়ে চলছে আর চরম ভোগান্তিতে রয়েছে তালাইমারী, কাজলা ও ভদ্রা রোডের যাতায়াতকারীরা। নগরবাসীর দাবি এরকম অনিয়ম আর অরাজকতা দ্রুত বন্ধ করা হোক।

রাসিক সবুজ নগরী দিয়ে বালু বাহি ট্রাক বন্ধের বিষয়ে নগর পিতা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, এমটিই আশা নগরবাসীর।

উল্লেখ্য, গত (৪জুন) হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য মেসার্স আমিন টেডার্সের সত্বাধিকারী আজিজুল আলম বেণ্টুকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসন। অন্যথায় ইজারা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করার হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। (৩জুন) সোমবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু আসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মেসার্স আমিন টেডার্সের সত্বাধিকারী আজিজুল আলম বেণ্টুকে উদ্দেশ্য করে ওই পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, চরখিদিরপুর ও চরশ্যামপুর মৌজার ১২০ একর বালু মহাল আপনাকে ইজারা প্রদান করা হয়েছে। যা আপনাকে ১৪-০৪-২০১৯ তারিখে লাল পতাকা চিহিৃত করে সরেজমিনে দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।কিন্তু আপনি ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে দায়েরকৃত রীট পিটিশন নং ৫১০৭/২০১৯ এর ১৩-০৫-২০১৯ তারিখের আদেশের প্রেক্ষিতে ইজারা বহির্ভূত জায়গা হতে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় ইজারা বাতিলসহ আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

 মতিহার বার্তা ডট কম১০ জুন ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply